নাম ইসম, Issam এর অর্থ জানুন বাংলায়

চন্দ্র ভিত্তিক বৈদিক জ্যোতিষবিদ্যা অনুসারে সাধারণত যে মানুষের নাম ইসম, Issam হয় সেই মানুষটি অশেষ আত্মশক্তির অধিকারী হয়। এই নাম হয়তো তাদের আরো বাস্তবধর্মী বানায় এবং এটা হয়তো তাদের জীবনে অনেক কিছু পেতে সাহায্য করবে। এরা সাধারণত জীবনে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। আর এদের এই ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব হয়তো তাদের তাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা নেতিবাচকতার সাথে লড়তে সাহায্য করবে। তারা হয়তো সব সময় চেষ্টা করবে বাস্তববাদী এবং ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে। এদের দৃঢ়চেতা মনোভাব হয়তো এদের জীবনের পথ কে আরও মসৃন করতে সঠিকভাবে সাহায্য করবে। এরা হয়তো এদের কাজ এবং কর্তব্যের প্রতি খুবই প্রীতিপূর্ণ ও আবেগপূর্ণ ভাবে জড়িত থাকবে। এরা হয়তো সব সময় চেষ্টা করবে নিজেদের কাজগুলি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে। সাধারণত এরা ভালোবাসতে ভালোবাসে এবং আশপাশের সবার পছন্দের মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে। তবে এই মানুষদের বলা হয় কাউকে যাচাই না করে বিশ্বাস না করতে কারণ তাদের জীবনে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এই মানুষেরা অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কখনো পিছপা হয় না। সাধারণত এরা সাহসী প্রকৃতির হয়। অন্যেরা হয়তো এদের স্নেহময় প্রকৃতি এবং পর্যাপ্ত রসবোধ দেখে এদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এদের মন এবং আবেগ সাধারণত খুবই গভীর হয়। এরা হয়তো কখনো কখনো অনুচিত আবেগ প্রদর্শন করে ফেলতে পারে। এই ব্যাপারে এদের সাবধান হওয়া উচিত। এরা হয়তো উৎসাহী এবং সহযোগী সহকর্মীও পাবে। যা হয়তো এদের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল বানাতে সাহায্য করবে। এরা হয়তো নিজেদের ভালোবাসার মানুষটির ওপর নিজেদের অধিকার bistar করতে চাইবে। এইজন্য হয়তো ভালোবাসার মানুষটিকে এরা হারাবে।

Advertisement

ভারতীয় জ্যোতিষবিদ্যা থেকে বোঝা যায় যে যে মানুষদের নাম ইসম, Issam হয় সেই মানুষদের সাধারণত তাদের প্রতিবেশীরা খুবই পছন্দ করে। তাদের সমাজের মানুষেরা সাধারণত তাদের মিশুকে স্বভাবের জন্য তাদের সাথে কথা বলতে ভালোবাসে। তবে তারা হয়তো তাদের কর্ম জীবনে একই ধরণের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখবে না। তারা হয়তো তাদের সহকর্মীদের সাথে খোলাখুলি ভাবে কথা বলতে পছন্দ করবে না। এর জন্য হয়তো তাদের কর্ম জীবনেরও ক্ষতি হতে পারে। তাদের এরম স্বভাবের জন্য কিছু লোক হয়তো ধরেই নেবে যে তারা আত্মকেন্দ্রিক। তবে তা হয়তো সত্যি হবে না। তারা হয়তো খুবই মিশুকে আর খোলা মনের মানুষ হবে। তাদের কর্মক্ষেত্রের সমস্যাগুলি হয়তো এই কারণেই হবে যে তারা হয়তো অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হবে এবং তারা হয়তো তাদের কর্মক্ষেত্রে কোনো ভাবেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবে না। তারা সাধারণত তাদের কর্ম জীবনের প্রতি অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনোভাব নিয়ে চলবে। তারা সাধারণত খুবই পরিশ্রমী ও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কাজ করবে এবং একই সাথে তারা হয়তো অবিচলিত থাকবে। তারা সাধারণত শান্তিপ্রিয় মানুষও হবে। নতুন বন্ধুদের সংস্পর্শে আসার সময় হয়তো তাদের সচেতন ও নির্বাচনশীল হতে হবে। তারা সাধারণত সমাজসেবী ও বিনীত প্রকৃতির মানুষ হবে। তারা সাধারণত গরীব ও দুস্থ মানুষদের নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করতে চাইবে। তারা সাধারণত ধীরেসুস্থে কাজ করতে পছন্দ করবে। তারা হয়তো সব সময় চেষ্টা করবে তাদের কাজ যেন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়। তারা হয়তো একটি স্বাচ্ছন্দের জীবনের থেকে শান্তির জীবনের সন্ধান বেশি করে করবে। তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য হয়তো তাদের শরীর খারাপ করবে। তারা হয়তো কোনো দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভুগবে। সুতরাং তাদের হয়তো নিজেদের কাজ ও স্বাস্থ্যের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা উচিত। আসলে এটা সাধারণত সবার জন্যই প্রযোজ্য।

যে জাতকদের নাম ইসম, Issam হয় সেই মানুষেরা সাধারণত তাদের জীবনের সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে খুব ভালো ভাবে অবগত হবে। তারা হয়তো তাদের লেনদেনের ব্যাপারে একটু বেশিই সৎ হবে। তারা সাধারণত খুবই খোলা মনের মানুষ হবে এবং নিজেদের মনের কথা কারোর সামনে প্রকাশ করতে হয়তো কোনো কুন্ঠা বোধ করবে না। সাধারণত তারা অত্যন্ত রকম সোজাসুজি ভাবে সব কাজ করতে পছন্দ করবে তবে তাদের এই ব্যবহারে হয়তো কখনো কখনো অন্যরা খুবই আহত হবে। তবে এই মানুষেরা সাধারণত সেই বিষয়ে কোনো ভাবেই মাথা ঘামায় না। যে জাতকদের এই নাম হয় সেই জাতকেরা হয়তো দৃঢ় সংকল্পের মানুষ হয়। যে ব্যক্তিরা এই শ্রেণীর মধ্যে পরে সেই ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণত বীরত্বের অনেক গুণ দেখা যায়। এই মানুষদের আরেকটি লক্ষ্যকরণীয় স্বভাব হলো তাদের মধ্যে হয়তো বেশ অনেকটা আত্মবিশ্বাস থাকবে যা সাধারণত তাদের নিজেদের জীবনে সফল হতে সাহায্য করবে। এই জাতকদের মধ্যে হয়তো মাঝে মধ্যেই একটু কর্তৃত্ব ফলানোর প্রবণতা দেখা যাবে। তারা সাধারণত অন্যদের ছোট করতে খুবই মজা পাবে। এই মানুষেরা হয়তো বস্তুবাদী মানসিকতার হবে। যে মানুষদের নাম ইসম, Issam হয় সেই মানুষেরা সাধারণত তাদের নিজেদের ব্যক্তিত্ব ও অবদান নিয়ে খুবই গর্ব করে। এই মানুষেরা হয়তো জন্ম থেকেই নেতৃত্ব করতে পারবে আর এইভাবেই সুখ লাভ করবে। তাদের জন্য সাফল্যের সিঁড়িটা সাধারণত খুবই লম্বা হবে। তবুও তারা হয়তো অকৃতজ্ঞ হবে এবং তাদের যারা সাহায্য করেছে তাদের প্রতি সাধারণত একটুও কৃতজ্ঞতা দেখাবে না। তারা হয়তো আবেগপ্রবণ হবে। এই জাতকেরা সাধারণত অপর লিঙ্গের মানুষদের সাথে খুব সহজেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে। তারা হয়তো অপর লিঙ্গের মানুষদের খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠতে পারবে বা উল্টোটাও দেখা যেতে পারে।

যে মানুষদের নাম ইসম, Issam হবে সেই মানুষেরা হয়তো তাদের বিভিন্ন কাজে সৃজনশীলতার পরিচয় দেবে। এই নামের প্রভাবে এসে হয়তো এই জাতকটি ভীষণভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে পরবে। তবে এই নামের প্রভাবস্বরূপ এই জাতকটি হয়তো তার নিজের মধ্যে প্রবলভাবে শক্তির সঞ্চয় হওয়া উপলব্ধি করবে যার ফলে সে তার অন্তরের সকল দ্বিধা দ্বন্দ্ব হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারবে। যে মানুষদের এই নামটি হবে সেই মানুষেরা হয়তো তাদের সকল ধরণের সমস্যাকে জয় করে ফেলতে পারবে এবং তাদের হয়তো সারা জীবনে কখনো ব্যর্থতার মুখ দেখতে হবে না। এই মানুষদের আবেগপূর্ণ স্বভাবের জন্য হয়তো তাদের অনেক নেতিবাচক চিন্তাভাবনার বা কাজকর্মের বা মানুষের বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। তাদের হয়তো সারা জীবন ধরে অনেক বার অনেক রকম ক্ষতি বা পরাজয় উপলব্ধি করতে হবে। এই মানুষেরা সাধারণত অনেক ভেবেচিন্তে ও অনেক বাছবিচার করে কোনো অন্য মানুষের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কের স্থাপন করে। এই কারণেই হয়তো এই মানুষদের বন্ধুর সংখ্যা খুবই কম হবে তবে এই বন্ধুরা হয়তো তাদের সকল কাজ ও চিন্তায় সহযোগিতা করবে এবং এই বন্ধুরা হয়তো তাদের প্রতি অতিরিক্তভাবে সহানুভূতিশীলও হবে। যখনই এই জাতকেরা কোনো বিপদের সম্মুখীন হবে তখনই হয়তো তারা দেখতে পাবে যে তাদের এই বন্ধুরা তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও এই ব্যক্তিরা সাধারণত বাড়িতে থাকতে খুবই ভালোবাসে তবুও তারা হয়তো পাহাড় বা সমুদ্রে বেড়াতে যেতেও ভালোবাসবে। তারা হয়তো প্রকৃতিপ্রেমিক হবে। তাদের পিতামাতারা হয়তো তাদের অন্ধভাবে সমর্থন করবেন। এই মানুষদের হয়তো মাঝে মাঝেই কাজের জায়গা বদলাতে হতে পারে। তারা হয়তো এই ভাবে তাদের বাড়িও পরিবর্তন করবে। তারা হয়তো কোনো এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না।